জলস্বপ্ন প্রকল্পে এক লক্ষ বাড়িতে পৌঁছে যাবে পানীয় জল

18th September 2020 7:38 pm হুগলী
জলস্বপ্ন প্রকল্পে এক লক্ষ বাড়িতে পৌঁছে যাবে পানীয় জল


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  এক লক্ষ বাড়িতে নল বাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে । চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে। রাজ্য সরকারের 'জলস্বপ্ন' প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানালেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। শুক্রবার জেলাশাসকের দপ্তরে জলস্বপ্ন প্রকল্প নিয়ে এক বৈঠক হয়। জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত  জেলাশাসক , মহকুমা শাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পথ্য ও জনস্বাস্থ কারিগরি দপ্তরের কর্মদক্ষরা।বিনামূল্যে প্রত্যেক বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী জলস্বপ্ন প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন।হুগলি জেলায় তার কাজ কিভাবে হবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।৫২০ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে একটি জলপ্রকল্প বলা ঘরে তৈরি করা হচ্ছে। মূলত আর্সেনিক-প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত বলাগর এবং পান্ডুয়ায় পরিশুদ্ধ পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতেই এ প্রকল্প।গঙ্গার জলকে পরিশুদ্ধ করে সাত লক্ষ পরিবারে এই পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানায় জেলা শাসক।এছাড়াও জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ১২০ কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে মোট ২৫ টি প্রকল্প তৈরি করা হবে।যার কাজ শুরু হবে আগামী মাস থেকে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।